শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাটে জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট বালক ও বালিকা (অনুর্ধ্ব-১৭)-২০২৫ এর জেলা পর্যায়ে খেলার শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত এক বেলা খাবারের আবেদন প্রসঙ্গে কৃষক মহাসমাবেশ বাস্তবায়ন গণকমিটির সদস্য সচিব এর প্রতিক্রিয়া লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের সম্পত্তি ক্রোক করে বিজ্ঞপ্তি সংবলিত ব্যানার ঝুলাল প্রশাসন লালমনিরহাটে লিপিকা দত্ত এর দূর্নীতি, অনিয়ম, ক্ষমতার অপব্যবহার ও স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও স্বারকলিপি প্রদান অনুষ্ঠিত লালমনিরহাট জেলা আইনজীবী সমিতি’র নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট সাংবাদিককের দুই পা কর্তন! লালমনিরহাটের কৃষকেরা বোরো ধান চাষে ব্যস্ত সময় পার করছে! লালমনিরহাটে সু-স্বাস্থ্যের জন্য ফলিত পুষ্টি বিষয়ক ৩দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত উত্তরবঙ্গ কৃষক মহাসমাবেশ নিয়ে চিলমারীতে ব্যাপক সাড়া বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে কোর্সটি চালু করা হোক?
দিনাজপুর বোর্ডে প্রথম স্থান অর্জন করলো আতিকুল

দিনাজপুর বোর্ডে প্রথম স্থান অর্জন করলো আতিকুল

হেলাল হোসেন কবির: ২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে বাণিজ্য বিভাগে প্রথম স্থান অর্জন করলো ফাকল পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী আতিকুল ইসলাম। সেই সাথে ট্যালেন্ট পুলে বৃত্তিও পান আতিকুল ইসলাম। সে লালমনিরহাট সদর উপজেলার হারাটি ইউনিয়নের জাহাঙ্গীর আলম ও তাহমিনা বেগমের কনিষ্ঠ পুত্র। চার ভাই বোনের মাঝে আতিকুল সবার ছোট।

 

দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে ২০১৯ সালের এসএসসি পরীক্ষায় সে ৯ম স্থান অর্জন করে। তারই ধারাবাহিকতায় এবার ২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় সে বাণিজ্য বিভাগে প্রথম স্থান অর্জন করলো। তার এ সাফল্যে আনন্দিত তার পরিবার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ফাকল পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ পরিবার।

 

শুধু আতিকুলই নয় ফাকল পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের আরেকজন কৃতি শিক্ষার্থী সাধারণ বৃত্তি অর্জন করে, তার নাম জেমস বিলসন রায়। জেমস বিলসন রায়ও বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থী। ইতিমধ্যেই সে ঢাকার একটি ফার্মে সিএ কোর্সে ভর্তি হয়েছে।

 

দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে প্রথম স্থান অর্জন করার সফলতার অনুভূতি জানতে চাইলে আতিকুল ইসলাম বলেন, সাফল্যের অনুভূতি বরাবরই ভালো লাগার মতো হয়। তবে আমার এ ফলাফলে আমি একটু বেশিই খুশি, কারণ আমার প্রতি সকলের যে ভরসা এবং চাওয়া ছিল, তা পূরণ করতে পেরেছি। সবার ভালো লাগার জায়গাটা রাখতে পেরেছি।

 

আতিকুল ইসলাম বলেন, আমার এ ফলাফল বা সাফল্যের পিছনে অনেকের অবদান রয়েছে। আমার পরিবার ও আমার প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষকদের অবদান ভুলার মত নয়। তাদের সহায়তার প্রভাব ছিল অনেকখানি। তাদের সবার আমার উপর ভরসা ও সময়োপযোগী অবদানগুলো ছিল আমার মনোবল ও ইচ্ছাশক্তিকে দৃঢ় করার বড় বড় উপাদান। পড়াশুনার যেকোনো ব্যাপারে আমার প্রতিষ্ঠান ফাকল পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ লালমনিরহাট, আমাকে যেভাবে সাহায্য করেছে বা আমাকে যেভাবে সাপোর্ট দিয়ে এসেছে তা হয়তো কখনো ভুলার মতো নয়।

আমি ফাকল পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজে ১২বছর থেকে লেখাপড়া করে আসছি। সকল স্যার ম্যাম খুবই আন্তরিকভাবে আমাদের দেখাশোনা করতেন। যে কোনো সমস্যায় পাশে দাঁড়াতেন। আমি ফাকল পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের কথা কোনো দিনই ভুলতে পারবো না।

 

সে আরও বলেন, যেকোনো কিছুতেই- “আমরা আছি, তুমি এগিয়ে যাও” এই কথাটি আমাদের মনোবলকে যে কতখানি স্পর্শ করে তা আমরা জানি, যা আমি পেয়েছি আমার পরিবার ও ফাকল পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষকদের নিকট হতে। আমার বন্ধু-বান্ধবদের কাছেও যেকোনো কিছুতে সহযোগিতা চেয়ে হতাশ হইনি। আমি সকলের অবদানকে স্বীকার করছি। বাবা-মা আমাকে সর্বদা উৎসাহ দিয়েছে, অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে। আমি এসএসসিতে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে ৯ম স্থান করেছিলাম। তখন থেকেই বাবা-মা বলতো এবারে প্রথম স্থান অর্জন করবে। তারই লক্ষ্যে আজকে আমার এই পাওয়া।

 

জীবনের লক্ষ্য সম্পর্কে জানতে চাইলে বলেন, সামনে আমার পথ এখনো অনেক বাকি। আমার ইচ্ছা আমার পরিবার, সমাজ দেশকে-গৌরময় কিছু দেয়া। তাদের চাহিদাগুলো পূরণ করে দেয়া। আমার লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য সকলের কাছে আমি দোয়াপ্রার্থী। ইচ্ছে ঢাবিতে বিবিএ, এমবিএ করে ভালো কিছু করা অথবা “সিএ” করা।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone